Donald Trump

পর্নতারকার মামলা: সাজা ঘোষণায় স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট! প্রেসিডেন্ট হওয়ার মুখে বিপাকে ট্রাম্প

শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খোলার জন্য ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৪
Share:

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্টর্মি ড্যানিয়েলস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ঘুষ মামলায় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার তা খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁকে বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মামলায় ম্যানহাটনের আদালত আগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক জুয়ান মার্চেন। পরে নির্বাচনে জয়ের পর মামলা প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর আইনজীবীরা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা তুলে ধরেছিলেন ম্যানহাটনের আদালতে।

সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ অনুসারে, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ‘অফিশিয়াল’ কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি এই মামলায় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন ম্যানহাটন আদালতের বিচারক মার্চেন। সুপ্রিম কোর্টও শুক্রবার একই কথা জানিয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। আমেরিকার আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের জেলের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। আর্থিক জরিমানা হতে পারে। বিচারক মার্চেন জানিয়েছেন তিনি ট্রাম্পের জেল-জরিমানা করবেন না।

Advertisement

পর্নতারকা স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যদিও ট্রাম্প গোড়া থেকেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সে সময় ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলেছিল ট্রাম্প শিবির। ২০২৩ সালের মার্চে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। সে বছরের এপ্রিলে তাঁকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতারও করা হয়েছিল। যদিও গ্রেফতারের পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রবীণ নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement