Probe against Maharashtra IAS

ইউপিএসসিতে জালিয়াতি রুখতে আসছে নতুন নিয়ম, পূজা খেড়করকাণ্ডের পর নতুন ভাবনার ইঙ্গিত

নিয়োগে জালিয়াতি রুখতেই উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে পরীক্ষা পদ্ধতিতে হেরফের আনতে চাইছে ইউপিএসসি। তবে কবে থেকে এই নতুন নিয়মগুলি চালু হতে চলেছে, সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৩
Share:

পূজা খেড়কর। — ফাইল চিত্র।

ইউপিএসসি পরীক্ষায় এ বার চালু হতে পারে নতুন বায়োমেট্রিক যাচাই-পদ্ধতি। নিয়োগে জালিয়াতি রুখতে এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)।

Advertisement

গত ১৮ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিএসসি জানিয়েছে, এত গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় নিয়োগে জালিয়াতি রুখতে পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা হতে পারে। এর মাধ্যমে বিশেষত পরীক্ষার্থীদের আধার-ভিত্তিক আঙুলের ছাপ এবং মুখমণ্ডলের ছবি যাচাই করা হবে। নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে কিংবা ছদ্মবেশে যাতে কেউ পরীক্ষায় না বসতে পারেন, সে জন্য শনাক্তকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থাৎ এআই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া সিসিটিভি নজরদারিও চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতি বছর ১৪টি সর্বভারতীয় পরীক্ষা পরিচালনা করে ইউপিএসসি, যার মধ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি শীর্ষ সরকারি পদে নিয়োগের পরীক্ষা। সেই সব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় প্রতারণা বা জালিয়াতি রুখতেই উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতিতে হেরফের আনতে চাইছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন।

Advertisement

এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পরীক্ষার সময়সূচি, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম এবং ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য পরীক্ষার দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেই পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রেও থাকবে কড়া নজরদারি। প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের ই-অ্যাডমিট কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হবে। তবে কবে থেকে এই নতুন নিয়মগুলি চালু হতে চলেছে, সে সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মহারাষ্ট্র ক্যাডারের প্রশিক্ষণরত আইএএস পূজা খেড়করের বিরুদ্ধে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিলের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেই নাকি একাধিক ভুয়ো শংসাপত্র বানিয়েছিলেন পূজা। নিজেকে ‘অনগ্রসর’ (ওবিসি) শ্রেণিভুক্ত বলে দেখানোর পাশাপাশি ভুয়ো প্রতিবন্ধী শংসাপত্রও বানান তিনি! দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় সেই ভুয়ো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমাও দেন। পূজাকে নিয়ে এত বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে আর এক আইএএস অফিসার অভিষেক সিংহের নাম। ২০১১ ব্যাচের এই অফিসার ২০২৩-এ চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। অভিযোগ, তিনিও ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সংরক্ষণের সুযোগ নিয়েছিলেন। আর এতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, ইউপিএসসি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে কী ভাবে ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করা সম্ভব! কাদের গাফিলতির জন্য পূজা-অভিষেকরা নিয়োগ পেলেন? সম্প্রতি নিট-সহ একাধিক পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে এমনিতেই অস্বস্তিতে কেন্দ্র, এ বার ইউপিএসসি নিয়োগ ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ইউপিএসসির চেয়ারপার্সন মনোজ সোনি। এ বার নিয়োগে জালিয়াতি রুখতে এমনই কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানাল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement