Instagram Reels

স্কুলে গিয়ে ‘রিল্‌স’ বানান দিদিমণিরা, ছাত্রদের করতে হয় লাইক, কমেন্ট, শেয়ার!

উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে স্কুলে গিয়ে ইনস্টাগ্রাম রিল্‌স বানানোর অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রছাত্রীদের সেই ভিডিয়ো লাইক এবং শেয়ার করতে বাধ্য করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ব্যাগ, বই, খাতা নিয়ে খুদেরা রোজ স্কুলে যায়। কিন্তু পড়াশোনা হয় না। কে পড়াবেন? যাঁদের পড়ানোর কথা, তাঁরা তো অন্য কাজে ব্যস্ত। স্কুলে গিয়ে শিক্ষিকারা ইনস্টাগ্রাম রিল্‌স তৈরি করেন। ছাত্রদের বাধ্যতামূলক ভাবে সেই ভিডিয়োতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতে হয়। অভিযোগ, শিক্ষিকাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতেও বাধ্য করা হয় পড়ুয়াদের।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের অমরোহা জেলার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদের অভিযোগ, স্কুলে নিয়মিত রিল্‌স ভিডিয়ো বানানো হয়। কোনও কোনও শিক্ষিকা সেই ভিডিয়োতে থাকেন, কেউ কেউ ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এমন একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘রবিপূজা’।

ওই স্কুলের ছাত্রদের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের ইচ্ছা না থাকলেও প্রতি দিন শিক্ষিকাদের রিল্‌সে লাইক করতে হয়। শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত। সেই কারণেই অভিভাবকেরা একজোট হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। ব্লক এডুকেশন আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

ওই স্কুলের এক ছাত্রের কথায়, ‘‘দিদিমণি স্কুলে এসে রিল্‌স তৈরি করেন, আমাদের দিয়ে সেগুলি লাইক করান। না করলে মারবেন বলেও হুমকি দেন।’’ অন্য এক ছাত্রের দাবি, স্কুলে শিক্ষিকারা ছাত্রদের দিয়ে অন্য কাজও করান। বাসন ধোয়া, চা বানানোর মতো কাজ তাদের দিয়ে করানো হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের ভাল শিক্ষা দেওয়ার কাজে তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এক অভিযুক্ত শিক্ষিকার কথায়, ‘‘আমরা স্কুলের সময়ে ছাত্রছাত্রীদের মন দিয়ে পড়াই। কখনও কখনও স্কুলে ভিডিয়ো বানাই, ছাত্রছাত্রীদেরই শেখানোর জন্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement