আতিক আহমেদকে খুন করিয়েছে বিরোধীরা, নয়া দাবি যোগী মন্ত্রিসভার সদস্যের। — ফাইল ছবি।
সরকারি হাসপাতাল চত্বরে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে সাংবাদিকের ছদ্মবেশী দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশে। এ বার উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী দাবি করে বসলেন, সত্যি ঘটনা বেরিয়ে যাওয়ার ভয়েই বিরোধীরা খুন করিয়েছে আতিককে।
গত ১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে তিন দুষ্কৃতীর হাতে খুন হন আতিক এবং আশরাফ। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে একাধিক পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করেছে আদিত্যনাথের সরকার। তিন সদস্যের দল ঘোষণা হয়েছে। তাঁরা ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করবেন। এই আবহেই রাজ্যের মন্ত্রী ধর্মপাল সিংহ দাবি করলেন, সত্যি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীরাই চক্রান্ত করে আতিককে মেরে ফেলেছে। তাঁর দাবি, আতিক এবং আশরাফকে যথাক্রমে গুজরাত এবং বরেলি থেকে প্রয়াগরাজে আনা হয়েছিল উমেশ হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেই জিজ্ঞাসাবাদেই সত্যি বেরিয়ে আসার ভয় পেয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। তাই সুপারি দিয়ে আতিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধরমপাল বলেন, ‘‘সত্যিটা হল, বিরোধীরাই আতিককে খুন করিয়েছে। উমেশ পাল হত্যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুখ খোলার কথা ছিল আতিকের। সত্যি বেরিয়ে আসার ভয়ে বিরোধীরা আতিককে মেরে দিয়েছে।’’
মন্ত্রীর দাবির সত্যতা যাচাই করা এখনও সম্ভব হয়নি। তদন্তেও এখন পর্যন্ত তেমন কিছু উঠে আসেনি। কিন্তু পুলিশি গাফিলতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ১৫ এপ্রিল রাতের ঘটনা। মন্ত্রী যদিও পুলিশের কোনও রকম গাফিলতি আছে বলে মনে করেন না। তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন বিরোধীদের। যা শুনে বিরোধীদের মন্তব্য, তদন্তের আগেই যে ভাবে মন্ত্রী রায় দিয়ে দিলেন, তাতে তদন্তে কী উঠে আসবে তা সহজেই অনুমেয়।