Rahul Gandhi

লোকসভার হাউজ়িং কমিটির নির্দেশ মেনে তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছাড়লেন রাহুল

গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল লাটিয়েন দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের বরখাস্ত সাংসদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৯
Share:

১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।

মার্চ মাসে নিম্ন আদালতের রায়ের পরেই মালপত্র সরানো শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার গুজরাতের সুরাত দায়রা আদালত ‘মোদী’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে সাজা বহাল রাখার পরেই সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।

Advertisement

গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল লাটিয়েন দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। শনিবার সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোই তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউজ়িং কমিটি শনিবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল রাহুলকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলো ছেড়ে দিলেন তিনি।

শনিবার সকালে রাহুলের বাংলোয় গিয়েছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা। দুপুরে তিনি আবার যান ১২ তুঘলক রোডে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে অমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। সে সময় তাঁর জন্য ওই বাংলোটি বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউজ়িং কমিটি। পদ হারানোর পরেই তা ছেড়ে দিলেন তিনি। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া গুলাম নবি আজ়াদ অবশ্য এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!

Advertisement

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। ওই রায়ের ভিত্তিতেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাতের দায়রা আদালতে রাহুল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement