—প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের ন’বছর পরে স্ত্রীকে তিন বার ‘তালাক’ বলে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন যুবক। পণ হিসাবে এসইউভি গাড়ি না পেয়ে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।
উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার ঘটনা। অভিযোগপত্রে মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে যুবকের সঙ্গে মুসলিম মতে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিয়ের সময়ে তাঁর বাবা পণ হিসাবে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই একটি গাড়ির দাবি করতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। পণ বাবদ এসইউভি গাড়ি দিতে না পারায় তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। এমনকি, গাড়ি না পেলে স্বামী দ্বিতীয় বার বিয়ে করার হুমকিও দিয়েছেন একাধিক বার। মহিলা জানান, গত বছর জুলাই মাসে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি।
কিছু দিন আগে সেখানেও হানা দেন অভিযুক্ত। মহিলাকে সরাসরি এসইউভি গাড়ি দেওয়ার কথা বলেন। গাড়ি না পেলে তৎক্ষণাৎ তিন বার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান যুবক।
ভারতে তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ। ফলে পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মহিলা। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।