(বাঁ দিকে) রেশন ‘দুর্নীতি’তে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
‘রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হয়ে কত টাকা লেনদেন করেছেন?’ আবার সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ‘ডাকু’। জবাবে তিনিও পাল্টা প্রশ্ন তুললেন। কী ভাবে জ্যোতিপ্রিয় হেফাজতে থাকাকালীন চিঠি লিখলেন, চিঠি লেখার জন্য কাগজ-কলম কোথা থেকে পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি আবার দাবি করেছেন, রেশন ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই যুক্ত নন।
শঙ্করের ইডি হেফাজতের মেয়াদ ফুরিয়েছে। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে। তার আগে ইডি দফতর থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শঙ্করকে। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে মন্ত্রীর টাকার লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা কিছুই জানি না। এক পয়সাও নিইনি। এটা একটা অভিযোগ। এর কোনও প্রমাণ নেই।’’
‘ডাকু’ আরও বলেন, ‘‘আমার কোনও মিল নেই, আমি রেশন সরবরাহকারীও (ডিসট্রিবিউটর) নই। ফলে খাদ্য দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনও ভাবে জড়িত হতে পারি না।’’ এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘হেফাজতে থাকাকালীন উনি (পড়ুন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়) কী ভাবে কলম পেলেন, কাগজ পেলেন, সেটা দেখা হোক। তা হলে সত্যিটা বোঝা যাবে।’’
গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বনগাঁর বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা টানা তল্লাশি চালায় ইডি। তার পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল ইডি। পরে তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে ইডি জানায়, ২০ হাজার কোটি টাকার বিদেশে লেনদেন করেছেন শঙ্কর। রেশন ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে সেই টাকার যোগ থাকতে পারে বলে ইডির অনুমান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই ২০ হাজার কোটির মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি জ্যোতিপ্রিয়ের। শঙ্কর অবশ্য সে সব অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন। তবে হাসপাতাল থেকে চিঠি লেখার কথা ইডির জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত মন্ত্রী। চিঠিটিতে টাকার লেনদেনের কথা লেখা ছিল। ইডি সেই চিঠি হাতে পেয়েছে।