এক ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে বাগে আনে বন দফতরের বিশেষজ্ঞ দল। ছবি: সংগৃহীত।
খেয়েদেয়ে শনিবার রাতে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন সকলে। হঠাৎই সকলের ঘুম ভেঙে যায়। দেখেন, বাড়িতে অনাহূত এক অতিথি এসেছে। ৮ ফুট দীর্ঘ এক কুমির। দেখে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। না ঘুমিয়ে কাটে গোটা রাত। অবশেষে ভোরবেলা সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার জাইটিয়া গ্রামের ঘটনা।
বাড়ির মালিকের নাম হরনাম সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১০টা ৩০মিনিট নাগাদ ঘরে ঢুকে আসে কুমিরটি। দেখেই পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ আশিস ত্রিপাঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। আশিস ঘরের দরজা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। যদিও বাড়ির বাসিন্দারা আর ঘুমাতে পারেননি।
খবর পেয়ে বাড়ির সামনে জড়ো হন স্থানীয়রা। ভোর ৬টা নাগাদ আশিসের নেতৃত্বে কুমিরটি উদ্ধার করতে আসে পুলিশ এবং বন দফতরের কর্মীদের একটি দল। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে ধরে উদ্ধারকারী দল। পরে তাকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হরনাম সিংহ বলেন, ‘‘কুমিরটা কখন বাড়িতে ঢুকেছিল, জানি না। হঠাৎ ছাগলগুলো চিৎকার করতে থাকে। তখন ঘর থেকে বেরিয়ে কুমিরটাকে দেখি। আমার মা নিজের ঘরে বসে চিৎকার করতে থাকেন। শুনে আমার মেয়ে ছুটে গিয়ে তাঁর ঘরের দরজা খুলে ঢুকে পড়ে। পিছন পিছন ঢুকে পড়ে কুমিরটাও।’’
আশিস বলেন, ‘‘কুমিরটা পূর্ণবয়স্ক নয়। বয়স দেড় থেকে দু’বছর। গ্রামবাসীরা খুবই ভয়ে ছিলেন। কিন্তু তার পরেও শনিবার রাতেই সেটিকে ধরতে আমরা অভিযানে নামিনি। কারণ কুমিরটা খুবই আক্রমণাত্মক।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, কুমিরটি পাশের কোনও খালে থাকত। খাবারের খোঁজে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। খুব শিগগিরই একে নদীর জলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।