—প্রতীকী চিত্র।
ফুটফুটে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু বাবার কন্যাসন্তান নাপসন্দ। অগত্যা নিজের হাতে খুন করে পুঁতে দিয়েছিলেন দুই সদ্যোজাতকে। ক’দিন আগে এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে।
অভিযুক্ত নীরজ সোলাঙ্কি (৩২) দিল্লির সুলতানপুরীর বাসিন্দা। একমাসেরও বেশি সময় গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর বুধবার হরিয়ানা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত এতদিন গ্রেফতারি এড়াতে হরিয়ানা ও দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলে আত্মগোপন করে ছিলেন।
নীরজের স্ত্রী পূজা সোলাঙ্কি গত ৩০ মে হরিয়ানার রোহতকের একটি হাসপাতালে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর পরেই স্বামী ও তাঁর পরিজনেরা দেখভালের নাম ক’রে শিশুদুটিকে নিয়ে যান। সুস্থ হয়ে সন্তানদের খোঁজ করতে গেলে স্বামীর পরিবারের তরফে তাঁকে জানানো হয়, শিশুদু’টি আচমকা অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছে। স্ত্রীর পরিবার এর পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ৫ জুন স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে পুলিশ যমজ কন্যার দেহ উদ্ধার করে।
২০২২ সালে বিয়ে হয়েছিল নীরজ ও পূজার। পূজার দাবি, বিয়ের পর প্রায়ই তাঁকে পণের জন্য হেনস্থা করা হত। কন্যাসন্তান হোক, এ-ও চাইতেন না নীরজের পরিবার। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বারবার পূজাকে ভ্রূণের লিঙ্গনির্ধারণ করানোর জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। এর পরই বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। অভিযুক্ত নীরজ গত ৩ জুন থেকে ফেরার ছিলেন। তাঁর খোঁজে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি বিশেষ দলকে নিযুক্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে নীরজ ঘন ঘন মোবাইলের হ্যান্ডসেট ও সিমকার্ড বদলাচ্ছিলেন। শেষমেশ হরিয়ানার সম্পলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরার মুখে দুই সদ্যোজাতকে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।