প্রতীকী ছবি।
পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেন থেকে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ফিরেছিল ২ বছরের শিশুটি। পরীক্ষা করতেই জানা গেল করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছে সে। এই শিশুটির সঙ্গে দেশে সব মিলিয়ে এখন নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২০। তবে এত কমবয়সি কেউ এর আগে এ দেশে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়নি। ওই বাচ্চাটির মা-বাবাও কোভিডে আক্রান্ত। কিন্তু তাঁদের দেহে নতুন স্ট্রেন রয়েছে কি না সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি।
ব্রিটেন থেকে ফেরার পর ওই পরিবারের মোট চারজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্টই পজিটিভ আসে। নতুন স্ট্রেনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করানোর জন্য দিল্লি পাঠানো হয়। চারটি নমুনার মধ্যে বাচ্চাটির শরীরে নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে।
উত্তরপ্রদেশে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হওয়া ওই পরিবার থাকে মেরঠের টিপিনগর থানা এলাকার সন্ত বিহারে। আক্রান্ত হওয়ার পর ওই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নজরদারিও চালাচ্ছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬। ব্রিটেনফেরত এই আক্রান্তদের মধ্যে একজন আবার ট্রেনে করে দিল্লি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ যান। আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন ভর্তি রয়েছেন বেঙ্গালুরুর নিমহ্যান্সে, দু’জন হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে, এক জন পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার পাশাপাশি তাঁদের পরিজনদের পাঠানো হয়েছে কোয়রান্টিনে।
নতুন স্ট্রেন যে ভাবে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র ৩১ ডিসেম্বরের পরেও ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখার কথা ভাবছে। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের শরীরে ওই স্ট্রেনের সংক্রমণ মিললেও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দেশে রোজ নতুন করোনা আক্রান্তদের অন্তত পাঁচ শতাংশের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।