মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উদ্ধব ঠাকরে এবং রাহুল গান্ধী (বাঁ দিক থেকে)। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ বার শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরে। আগামী শুক্রবার (২৩ জুন) বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আমন্ত্রণে পটনায় বিজেপি বিরোধী নেতাদের বৈঠকের আগে বিরোধী শিবিরের অন্দরে ধারাবাহিক ভাবে সমালোচনার শিকার হচ্ছে কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব কর্নাটকে স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জীবনী বাদ দেওয়ার জন্য সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। দলের মুখপত্রে লেখা নিবন্ধে তাঁর বক্তব্য, ‘সাভারকর আমাদের কাছে বৈগ্রহিক চরিত্র।’ শনিবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র অতুল লন্ধে বলেন, ‘‘ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে আমাদের জোট রয়েছে। দু’টি দলের রাজনৈতিক মতাদর্শের ফারাক রয়েছে। ফলে নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা।’’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার কর্নাটক মন্ত্রিসভার বৈঠকে সে রাজ্যের স্কুলের পাঠ্যসূচি থেকে সাভারকর এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জীবনী বাদ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবর্তে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সমাজকর্মী সাবিত্রীবাই ফুলের জীবনী, বিআর অম্বেডকরের কবিতা এবং ব্রিটিশের জেলে বন্দি জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরাকে লেখা চিঠি। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছিলেন বিজেপি সরকারের জমানায় শিক্ষার ‘গৈরিকীকরণ’ নীতি বদলানো হবে।
পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে কংগ্রেসকে ঘিরে দুই বিরোধী দলের উষ্মা প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’-এর সমাপ্তি কর্মসূচিতে মমতাও কড়া সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেসের। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস অনেক রাজ্য চালিয়েছে। সিপিএমের সবচেয়ে বড় দোসর। বিজেপির বড় দোসর। আর পার্লামেন্টে (সংসদ) আমাদের সাহায্য চাও। আমরা করব তা-ও বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু মনে রেখো, বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে ঘর করে আমাদের কাছে বাংলায় সাহায্য চাইতে আসবে না।’’