হোটেলে পুলিশি ‘পাহারা’।
আগরতলা পৌঁছেও আইপ্যাক কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তার মধ্যেই এ বার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ধারায় পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল আগরতলা পুলিশ। ১ অগস্ট, রবিবার তাঁদের মধ্যে থেকে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে আগরতলা পুলিশ। পুলিশের সামনে হাজিরা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আইপ্যাক কর্মীদের তলব করে আগরতলা পুলিশের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত দিনে প্রত্যেককে হাজিরা দিতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। কোনও নথিপত্র থাকলে তা-ও জমা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেনে আনতে বাধ্য করা হবে সকলকে।
কী কারণে অপরাধ আইনে তদন্ত, তা যদিও চিঠিতে খোলসা করেনি আগরতলা পুলিশ। তবে আইপ্যাক কর্মীদের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে তারা।
এই চিঠিই দেওয়া হয়েছে আইপ্যাক কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র।
২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা করতে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন আইপ্যাকের ২৩ জন কর্মী। রবিবার রাত থেকে আগরতলার একটি হোটেলে তাঁদের ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এর আগে বিপ্লব দেব সরকার জানিয়েছিল, কোভিড সতর্কতার জন্যই এই পদক্ষেপ। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত বেরোতে পারবেন না তাঁরা। কিন্তু বুধবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, আইপ্যাক কর্মীদের সকলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আইপ্যাক কর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে বুধবার সকালেই আগরতলা পৌঁছন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে নেমে ওই হোটেলে আইপ্যাক কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের।