Andhra Pradesh Telangana Flood

এখনও জলের তলায় অন্ধ্র, তেলঙ্গানার বিস্তীর্ণ অংশ, মঙ্গলেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দুই রাজ্যে, মৃত বেড়ে ৩৫

অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। দুই রাজ্য মিলিয়ে ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবারও দুই রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২৫
Share:

ভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় অন্ধ্র-তেলঙ্গানার বিস্তীর্ণ অংশ। ছবি: সংগৃহীত।

অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। সোমবার রাত পর্যন্ত দুই রাজ্য মিলিয়ে ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও দুই রাজ্যের বহু জায়গায় জলের তলায় রেললাইন, জাতীয় সড়ক। চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বহু কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারও এই দুই রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

Advertisement

তেলঙ্গানার আদিলাবাদ, নিজামাবাদ এবং নির্মল জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওই রাজ্যের আসিফাবাদ, জাগতিয়াল, সাঙ্গারেড্ডি, মেদক এবং কামারেড্ডি জেলাতেও, ভারী বৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে অন্ধ্রের এনটিআর, গুন্টুর, কৃষ্ণা, এবং বাপাতলার জেলা প্রশাসনকে। সোমবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে তেলঙ্গানায় ১৬ জন এবং অন্ধ্রে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুই রাজ্যেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। উপকূলের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে অন্তত ১৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের আশ্রয়ের জন্য বহু ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় ধস নেমেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহর। শুধু ওই শহরেই দু’লক্ষের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজয়ওয়াড়ার মোগলরাজপুরমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে দু’টি বাড়ির উপরে বড় পাথর গড়িয়ে পড়ে পাঁচ জনের প্রাণ গিয়েছে।

Advertisement

অন্ধ্র ও তেলঙ্গানার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে দুই রাজ্যকেই বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টানা বৃষ্টির জেরে হায়দরাবাদে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement