এক জওয়ানের হাত থেকে রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যায় এক জঙ্গি। ছবি: প্রতীকী
নিরাপত্তা রক্ষীর বন্দুক কেড়ে পালিয়ে গেল জঙ্গি। তল্লাশি শুরু জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় টহল দিচ্ছিল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। তাদেরই অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর পদের এক জওয়ানের হাত থেকে রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যায় এক জঙ্গি। ঘটনার পরেই যৌথ অভিযানে নেমেছে পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ।
২০২২ সালে কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে সাফল্য পেয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কাশ্মীর পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম হয়েছে ১৭২ জন জঙ্গি। তাদের মধ্যে ৪২ জন বিদেশি। উপত্যকায় গোটা বছরে মোট ৯৩টি সংঘর্ষ হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ১০৮ জনই লস্কর-এ-তইবার। তার পরেই রয়েছে জইশ-এ-মহম্মদ। ওই গোষ্ঠীর ৩৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। হিজবুল মুজাহিদিনের ২২ জন জঙ্গি, আল-বদরের ৪ জন, আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দের ৩ জন জঙ্গি নিহত। এই তথ্য দিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের এডিজি। পুলিশের তথ্য আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১০০ জন জঙ্গিদলে নাম লিখিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ কমেছে যোগদান। নতুন নিযুক্তদের মধ্যে ৬৫ জন জঙ্গিই নিহত।