শুধু আইপিএল খেললে আর ভারতীয় দলে সুযোগ পাবেন না উদীয়মান ক্রিকেটাররা। ছবি: টুইটার।
আইপিএলে যতই ভাল পারফরম্যান্স থাকুক, ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য খেলতেই হবে ঘরোয়া ক্রিকেট। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এমনই নিয়ম করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রবিবার বিসিসিআইয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিএলের দাপটে ক্রমশ আকর্ষণ হারাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তরুণ ক্রিকেটারদের একাংশের মধ্যেও। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটই ভারতীয় দলের মেরুদণ্ড। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব বজায় রাখতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই হবে। তরুণ ক্রিকেটারদের খেলতে হবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ। সেই পারফরম্যান্সই এক মাত্র খুলে দিতে পারে জাতীয় দলের দরজা।
বৈঠকের পর বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ড তরুণ ক্রিকেটারদের ধাপে ধাপে উন্নতিতে বিশ্বাস করে। তরুণ ক্রিকেটাররা যতটা সম্ভব বেশি ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলি খেলুক। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই একটা সময় পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হত ভারতীয় দলে। আইপিএল শুরু হওয়ার পর এই প্রতিযোগিতার পারফরম্যান্সও জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত মাপকাঠি হয়ে উঠেছে ক্রমশ। ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন সাফল্য না থাকা সত্ত্বেও আইপিএলে একটি বা দু’টি মরসুমে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে। যাঁদের অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন সাফল্য পাননি। যার প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, ২০ ওভারের পারফরম্যান্স দিয়ে এক জন ক্রিকেটারের দক্ষতা বিচার করা যায় না। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটই আসল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও তেমনই মনে করছেন। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলা বাধ্যতামূলক করতে চাইছেন তাঁরা। রবিবারের বৈঠকে ম্যাচের সংখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্দিষ্ট সংখ্যাক ম্যাচ না খেললে উদীয়মান ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
অর্থাৎ এখন থেকে আইপিএলে নজর কাড়লেও জাতীয় নির্বাচকদের বিবেচনায় আসবেন না দেশের তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটাররা। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা এবং পারফরম্যান্সই মূল বিবেচ্য হবে।