ধৃত ভাড়াটে পঙ্কজ কুমার।
মত্ত অবস্থায় বাড়িতে কেন? প্রতিবাদ করায় বাড়ির মালিককে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ উঠল ভাড়াটের বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, বাড়ির মালিককে খুন করার পর তাঁর সঙ্গে একটি নিজস্বী তোলেন ভাড়াটে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুরেশ। অভিযুক্ত ভাড়াটের নাম পঙ্কজ কুমার। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে দিল্লিতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।
অভিযোগ, বাড়িতে প্রায়ই মদ খেয়ে ঢুকতেন পঙ্কজ। বাড়ির মালিক সুরেশ বেশ কয়েক বার আপত্তি জানিয়েছিলেন। এমনকি বিযয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যেও বচসাও হয়েছিল। যদিও পরে পঙ্কজ বাড়ির মালিক এবং তাঁর ছেলে জগদীশের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু তার পরেও একই কাজ করে যাচ্ছিলেন পঙ্কজ।
বিষয়টি চরমে ওঠে গত ৯ অগস্ট। বাড়ির মালিক এবং তাঁর ছেলের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় পঙ্কজের। আবারও বিষয়টি মিটমাট করেন পঙ্কজই। এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, আর কখনও মত্ত অবস্থায় ঘরে আসবেন না। কিন্তু তাঁর মধ্যে অন্য ভাবনা কাজ করছিল। জেরায় পুলিশের কাছে পঙ্কজ দাবি করেছেন, তাঁকে বার বার অপমান করতেন সুরেশ। গালিগালাজও করতেন। আর সেই ঘটনার বদলা নিতেই বাড়ির মালিককে খুন করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন সুরেশ। সে দিন বাড়িতে ছিলেন পঙ্কজও। ঘুমের মধ্যেই সুরেশের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন। তার পর তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন। রাতটা কাটিয়ে ভোরবেলায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। তার পর সুরেশের ছেলে জগদীশকে ফোন করে জানান, তাঁর বাবা ফের অপমান করেছে, আর সে কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন। এতেই সন্দেহ হয় জগদীশের। তিনি এক তলায় বাবার ঘরে যেতেই চমকে ওঠেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় নিথর হয়ে পড়েছিলেন সুরেশ। এর পরই জগদীশ পুলিশে খবর দেন। ২৫০ কিলোমিটার ধাওয়া করে পঙ্কজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।