মৃত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য! এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ গ্রেফতার মঙ্গলবার। হরিশকুমার নিশাদ নামে বছর চব্বিশের যুবককে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, গত মাসেও সিদ্দিকিকে খুন করার চেষ্টা করেছিল আততায়ীরা। এক-দু’বার নয়, ১০ বার মারার চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রতি বারই সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে ১২ অক্টোবর রাতে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।
গত শনিবার পুত্র তথা জ়িশান সিদ্দিকির দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুন হন এনসিপি নেতা। নিজের গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয়। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘খেরওয়াড়ি অর্থাৎ যে এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে সেটি উন্মুক্ত এলাকা। তাই সেই জায়গাতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল আততায়ীরা।’’ তিনি জানান ধৃতদের জেরা করেই এমন তথ্য মিলেছে।
অতীতেও সিদ্দিকিকে খুন করার পরিকল্পনার কথা অভিযুক্তদের জেরায় উঠে এসেছে। কিন্তু কেন ব্যর্থ হয়েছে, সে সম্পর্কে ওই তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে। কখনও এমন অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত সেখানে আসেননি সিদ্দিকি। আবার অনেক সময় অনুষ্ঠানে এলেও কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ঘিরে থাকার কারণে তাঁকে মারতে পারেনি অভিযুক্তেরা।তাই বাধ্য হয়েই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়।’’
সিদ্দিকি-খুনে পুলিশ এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিযুক্ত দুই শুটার— গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ। এ ছাড়াও প্রবীণ লোনকর নামে এক দুগ্ধ ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শেষ গ্রেফতারি হরিশের। পুণেয় লোহালক্কর বিক্রির দোকান রয়েছে। তাঁর দোকানের পাশেই ছিল প্রবীণের দুধের দোকান। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাইক কেনার জন্য ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন প্রবীণ। হরিশই বাইক কিনে তা মুম্বইয়ে শুটারদের কাছে পৌঁছে দেন। সেই বাইকে চেপেই আততায়ীরা হামলা চালিয়েছিল সিদ্দিকির উপর।