ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় এ বার জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার স্ত্রীকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে স্ত্রী পায়েল আবদুল্লার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। এর পর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান ওমর। মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহর বেঞ্চে। ওমরের স্ত্রী পায়েলের কাছে আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে এ দিন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আদালতে তাঁর যুক্তি, আবদুল্লা দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্কে আর কিছুই বাকি নেই। বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে কপিল জানান, গত ১৫ বছর ধরে ওমর ও পায়েল আলাদা থাকেন। তাঁদের বিবাহ একপ্রকার ‘মৃত’ বলেও আদালতে জানান ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আর্জি, যাতে শীর্ষ আদালত সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের প্রয়োগ করে এই বিবাহবিচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট কাউকে সুবিচার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডিক্রি জারি করতে পারে। কপিলের যুক্তি, এর আগেও শীর্ষ আদালত এ ধরনের ক্ষেত্রে ১৪২ অনুচ্ছেদের প্রয়োগ করেছে।
কাশ্মীরের নেতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলাটি প্রথমে ২০১৬ সালে এক পারিবারিক আদালতে উঠেছিল। কিন্তু সেখানে রায় ওমর আবদুল্লার পক্ষে যায়নি। ওমর তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সব নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলেছিলেন, তা অস্পষ্ট বলে জানিয়েছিল আদালত। আদালত আরও জানিয়েছিল, স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা নিষ্ঠুরতার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি ওমর। পরে ২০২৩ সালে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব ও বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চও নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রেখেছিল। সঙ্গে দিল্লি হাই কোর্ট আরও জানিয়েছিল, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাকে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা খোরপোশ দিতে হবে স্ত্রীকে। পাশাপাশি দুই সন্তানের জন্যও পৃথক ভাবে মাসে ৬০ হাজার টাকা করে দিতে হবে।