সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
দূষণ শুধু দিল্লি-এনসিআরের সমস্যা নয়, এটা একটা সর্বভারতীয় সমস্যা! সোমবার দেশের দূষণ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তা-ই নয়, দেশের মধ্যে সর্বাধিক দূষিত শহরগুলির একটা তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই তালিকা প্রস্তুত করে আদালতে জমা দিতে হবে, জানিয়েছে বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ।
দিল্লি এবং তার আশপাশ এলাকার দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি ওকার বেঞ্চ জানায়, শুধু দিল্লির সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। সব রাজ্যের দূষণজনিত সমস্যা নিয়ে ভাবা উচিত। প্রয়োজনে দূষিত শহরগুলির দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের (সিএকিউএম)’ মতো ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।
সোমবারের শুনানিতে আদালতের কমিশনার জানান, দূষণ মোকাবিলায় দিল্লিতে জারি করা তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩) ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, দিল্লি-এনসিআরের বাইরের রাজ্যগুলি দূষণবিরোধী পদক্ষেপ অনুসরণ করে না। তার পরই বিচারপতি ওকার বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলে, ‘‘বায়ুদূষণের সমস্যায় জর্জরিত, এমন প্রধান শহরগুলির তালিকা দিন। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার প্রয়োজন। আমরা সুপ্রিম কোর্টে বসে শুধুমাত্র দিল্লির সমস্যা নিয়ে ভাবছি, এমন ভুল বার্তা অন্যান্য রাজ্যের কাছে যাওয়া ঠিক নয়।’’
গত ১৮ নভেম্বর থেকে দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত মামলা শুনছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। এর ফলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বাতাসের গুণগত মানের সূচক কিছুটা ভাল হয়। কিন্তু রাজধানীতে জাঁকিয়ে শীত পড়ার পর আবার গুণগত মানের সূচক খারাপ হতে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে দিল্লি-এনসিআরে ফের তৃতীয় স্তরের সতর্কতা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩ বা জিআরএপি ৩) চালু হতে চলেছে।