এ বার বিদেশের বাজার ধরতে কোমর বেঁধে ঝাঁপাচ্ছে এ রাজ্যের জয়নগরের মোয়া। —ফাইল চিত্র।
চাহিদা রয়েছে। ফলে লাভের সম্ভাবনা যে বিপুল, তা বহু দিন আগেই বুঝেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মূলত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া। সূত্রের দাবি, শেষ পর্যন্ত পথ মিলেছে। ফলে এ বার বিদেশের বাজার ধরতে কোমর বেঁধে ঝাঁপাচ্ছে এ রাজ্যের জয়নগরের মোয়া।
জানা গিয়েছে, ইটালি থেকে একটি যন্ত্র আনা হয়েছে জয়নগরে। তা বসানোর কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে। তাতে আধুনিক প্রক্রিয়ায় মোয়াকে মোড়কে ভরা যাবে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এ ভাবে ২৫-২৬ দিন টাটকা থাকবে রাজ্যের ‘জিআই’ (একটি বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চলের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি) তকমা পাওয়া এই খাবার। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জয়নগর পুরসভার পাশে যন্ত্রটি বসাচ্ছে। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব প্যাকেজিং (আইআইপি)। ফলে বিদেশের মানুষও বাংলার খাবারটির স্বাদ নিতে পারবেন।
আইআইপি-র আঞ্চলিক কর্তা বিধান দাস বলেন, ‘‘মেশিন মারফত মোড়কবন্দি মোয়া ২৫-২৬ দিন পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য থাকবে। মোয়া শিল্পীদের এটি চালানোর প্রশিক্ষণ দেব।’’ তিনি জানান, এতে ৫০০ গ্রামের প্যাকেট করা যাবে। দিনে তার পরিমাণ দাঁড়াবে ন্যূনতম ৬০০-৭০০ কেজি। বিধানের দাবি, ‘‘২০১৫-এ ‘জিআই’ স্বীকৃতি পেয়েছিল জয়নগরের মোয়া। এ বার লক্ষ্য, সেটির আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি। জয়নগর মোয়া প্রস্তুতকারী সোসাইটির সদস্যেরা যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবেন।’’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক অশোক কুমার কয়াল বলেন, ‘‘জয়নগর ১ এবং ২ ব্লকে ৪৬৫ জন সদস্য। তাঁরা সকলেই এটা পারবেন। এতে সেগুলির মেয়াদ বাড়ায় বিদেশে পাঠানো সহজ হবে।’’ অশোক জানান, ২০২০-তে যন্ত্রটি বসে যাওয়ার কথা ছিল। করোনার ধাক্কায় দেরি হয়ে গেল।