— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সোমবার ভোরেও পাঁচ ডিগ্রির নীচে নেমে গেল দিল্লির তাপমাত্রা। গত সপ্তাহ থেকেই শীতে জবুথবু দেশের রাজধানী! সঙ্গে ভোরের শহর ঢেকেছে ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে। পরিস্থিতি এমনই যে, দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হাইওয়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করলেই গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা!
রবিবার ভোরে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছিল। সোমবার ভোরেও সেই চিত্রের বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ নগরীর প্রাথমিক আবহাওয়া কেন্দ্র সফদরজংয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহের জেরে পারদপতন হচ্ছে দিল্লিতে। সোমবারও তার অন্যথা হয়নি। শুধু দিল্লিই নয়, পাশাপাশি রাজস্থান, পঞ্জাব-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে।
গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে চতুর্থ বার ৫ ডিগ্রির নীচে নামল পারদ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আবহাওয়া দফতরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম ডিসেম্বরে এতটা পারদপতন হল দিল্লিতে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়েছে বাতাসের গুণমান। রবিবারের তুলনায় বাতাসের গুণমান আরও হ্রাস পেয়েছে। ঘন ধোঁয়াশায় হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতাও। রবিবার ভোরে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ২৪৬। সোমবার একই সময়ে বাতাসের গুণমান ৩৩৪-এ এসে ঠেকেছে, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে!
কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা। এর পরেই নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। হালকা গাড়িগুলির জন্য গতিসীমা ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ৭০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। ভারী যানগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এই নতুন নিয়মবিধি লঙ্ঘন করলে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।