প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ সিবিআইকে এই বিষয়ে দু’দিনের মধ্যে জবাবি হলফনামা দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত মার্চ মাসে দিল্লির আবগারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। তিহাড় জেলে থাকাকালীন একই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই মামলাতেই জামিন চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। কিন্তু গত ৫ অগস্ট কেজরীওয়ালের মামলার শুনানিতে বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণের বেঞ্চ জানায়, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির নেপথ্যে ‘ন্যায্য’ কারণ ছিল। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপকে কখনওই বেআইনি বলা যাবে না।
হাই কোর্ট জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পরই গত ১২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৪ অগস্ট শুনানির প্রথম দিন শীর্ষ আদালতে কেজরীওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, তাঁর মক্কেলকে গত ১০ মে আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। তার পর জুলাই মাসে এই একই মামলায় তিনি জামিন পান। এমনকি, নিম্ন আদালতও সিবিআইয়ের একটি মামলায় কেজরীওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলেও উল্লেখ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সিঙ্ঘভি প্রশ্ন তোলেন, কেন মামলা রুজুর ১০ মাস পরে সিবিআই গ্রেফতার করল কেজরীকে?
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে কয়েক দিনের জন্য বাইরে এসেছিলেন। গত ২ জুন আবারও আত্মসমর্পণ করেন কেজরী। অন্য দিকে, জামিন চেয়ে নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বার আবেদনও করেন তিনি। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ইডির মামলায় কেজরীওয়ালকে জামিন দেয়। তবে জেলে থাকাকালীনই এই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই মামলায় জামিন চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরী। তা খারিজ হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি।