প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার (টেট) ‘ভুল প্রশ্ন’ সংক্রান্ত অভিযোগের মামলায় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৭ সালের ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। অন্য দিকে, ২০২২ সালের টেটে ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাইয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে।
গত জুন মাসে এই মামলার শুনানি পর্বের শেষে বিচারপতি টন্ডন এবং বিচারপতি বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছিল। ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট-এ প্রশ্নে ‘ভুল’ আছে এই অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ২০১৭ সালের প্রশ্ন বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ২০২২ সালের প্রশ্ন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি খতিয়ে দেখবে। তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৭ সালের পরীক্ষায় ২৮টি এবং ২০২২ সালের পরীক্ষায় ২২টি প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় পর্ষদের দাবি ছিল, তারা নিজেরাই বিষয়টি যাচাই করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, একটি পরীক্ষা সংগঠিত করতে সময় ব্যয় হয়, পরিশ্রম করতে হয়। যাঁরা পরীক্ষায় অসফল হন তাঁরাই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলে মামলা করেন। কিন্তু সেই যুক্তি কার্যত খারিজ করে মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী অর্কদেব বিশ্বাস এবং দেবারতি রায়চৌধুরীর আর্জি মেনে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে গেল ‘ভুল প্রশ্ন’ যাচাইয়ের ভার।