Supreme Court

২৩ বছরের পুরনো ধর্ষণের মামলায় বেকসুর খালাস অভিযুক্ত, সুপ্রিম কোর্ট বলল, সম্মতিতেই সম্পর্ক

২০০০ সালের ঘটনা। দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই ‘নির্যাতিতা’। অভিযোগ সেখানে তাঁকে এক পরিচিত যুবক ধর্ষণ করেন। এবং নির্যাতিতা তখন সাবালিকা ছিলেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:০৫
Share:

সুপ্রিম কোর্ট —ফাইল চিত্র।

২৩ বছরের পুরনো এক ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতার সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক হয় দু’জনের। তা ছাড়া, নির্যাতিতা যে তখন নাবালিকা ছিলেন বলে জানানো হয়েছিল, সেই দাবিও ঠিক নয়।

Advertisement

২০০০ সালের ঘটনা। দিদির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই ‘নির্যাতিতা’। অভিযোগ সেখানে তাঁকে এক পরিচিত যুবক ধর্ষণ করেন। এবং নির্যাতিতা তখন সাবালিকা ছিলেন না। অন্য দিকে, ‘ধর্ষকের’ সঙ্গে বিয়ে দিতে চায় ‘নির্যাতিতা’র পরিবার। কিন্তু অভিযুক্তের পরিবার সেই বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। মামলা গড়ায় আদালতে। ২০০১ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন যুবক। কিন্তু ২০১৪ সালে মামলার শুনানিতে হাই কোর্টও নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রাখে। তার পর সুপ্রিম কোর্টে যান অভিযুক্ত।

সম্প্রতি ওই মামলাটি শোনে বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কৌল, বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যে সময় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তখন নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৬ বছরের বেশি। যৌন সম্মতির বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হয় ২০১২ সালে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্রথমত ঘটনার সময় নির্যাতিতার বয়স যে ১৬ বছরের কম ছিল, সেই দাবি প্রমাণিত হয়নি। তা ছাড়া, যিনি নির্যাতিতা বলে দাবি করছেন, তাঁর অসম্মতিতে সম্পর্ক হয়েছিল কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।’’

Advertisement

তার পরেই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement