Liquor Looting in Bihar

‘শুখা’ বিহারে উল্টে গেল মদের গাড়ি! আরোহীরা পালাতেই দেদার লুট বোতলের পর বোতল

গয়ার উপর দিয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। পথে উল্টোদিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর আরোহীরা পালিয়ে গেলে গাড়িবোঝাই মদ লুট করেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গয়া শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৯
Share:

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে মদ লুট চলছে। ছবি: সংগৃহীত।

প্রবাদ আছে, কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ! শুখা বিহারে সেই প্রবাদই যেন অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল। মদবোঝাই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর আরোহীরা চম্পট দেন। সেই সুযোগে গাড়িতে রাখা মদের বোতল হাতে তুলে হাসিমুখে এলাকা ছাড়ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকেই মদ বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ বিহারে।

Advertisement

২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় বিহারের গয়ায় অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে মদবোঝাই একটি গাড়ির। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ির আরোহীরা পালিয়ে যান। এ দিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্তদের বাঁচাতে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরা এসে দেখেন, গাড়িতে কোনও আরোহীই নেই। পড়ে রয়েছে কেবল বাক্সে ভরা মদের বোতল!

অতঃপর, সেই মদের বোতল বগলদাবা করে হাসিমুখে দুর্ঘটনাস্থল ছাড়লেন সাধারণ মানুষ। এই ভিডিয়ো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। মেঘ না চাইতেই ‘জল’ পাওয়ার আশায় বহু দূর-দূর থেকেও লোকজন আসতে শুরু করেন গয়ার দোভি এলাকায়। সকলেই চান অন্তত একটা করে বোতল বগলদাবা করতে। স্বভাবতই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে চলে আসে দোভি থানার পুলিশও। কিন্তু গাড়ি ঘিরে তখন এত মানুষের ভিড় যে, পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিকে কিছু ক্ষণের মধ্যেই মদের গাড়ি ফাঁকা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কমে আসে মানুষের ভিড়ও। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যায়। তবে, লুটের মদ হজম করলে বিপদেরও সম্ভাবনা রয়েছে। আবগারি দফতর জানিয়েছে, ভিডিয়ো দেখে মদ লুটেরাদের শনাক্ত করা হবে। তার পর তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, ২০১৬ সাল থেকেই বিহারে মদ বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি এখনও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement