সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ফাইল ছবি।
বিজেপি-র সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়ল সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। এ বার নিজের টুইটার হ্যান্ডলের বায়ো থেকে বিজেপি-র নাম সরিয়ে দিলেন তিনি। বিজেপি-র জাতীয় কার্যসমিতির কমিটি থেকে বৃহস্পতিবারই বাদ যায় সুব্রহ্মণ্যমের নাম। তার পরই বিজেপি-র নাম মুছে গেল তাঁর টুইটার থেকে।
সুব্রহ্মণ্যম নতুন টুইটার বায়োতে নিজের পরিচয় দিয়েছেন কেবল মাত্র রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে। কোন দল থেকে তিনি নির্বাচিত, তা আগে লেখা থাকলও এখন আর নেই। তাঁর টুইটার বায়োতে লেখা রয়েছে, ‘রাজ্যসভা এমপি, প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী, হার্ভার্ড থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি, অধ্যাপক, যেমন ভাল ব্যবহার পাব তেমন ফিরিয়ে দেব।’ কিন্তু পরিবর্তনের আগে টুইটার বায়োতে তাঁর পরিচয় ছিল বিজেপি সাংসদ হিসাবে। এবং তিনি যে বিজেপি জাতীয় কর্মসমিতিতে আছেন তারও উল্লেখ ছিল।
শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমালোচক হিসাবে পরিচিত সুব্রহ্মণ্যম। মোদীর অর্থনীতি পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ যেতেই ফের তাল কাটল সুব্রহ্মণ্যমের।
নয়া কৃষি আইন এবং উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে হিংসার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন মানেকা এবং বরুণ গাঁধী। তাঁরাও বাদ গিয়েছেন বৃহস্পতিবার গঠিত বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতি থেকে। এঁরা ছাড়াও ইন্দ্রজিৎ সিংহ, প্রহ্লাদ পটেল, সুরেশ প্রভু, এসএস আহলুওয়ালির মতো বিজেপি-র অনেক প্রবীণ নেতা-মন্ত্রীরও ঠাঁই হয়নি নতুন কমিটিতে।