সনিয়া গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী কি যোগ দেবেন সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে? জবাবে দিগ্বিজয় জানিয়েছেন, সনিয়া এই বিষয়ে ‘খুব ইতিবাচক’।
২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করা হবে। দিগ্বিজয় জানিয়েছেন, হয় সনিয়া নিজে যাবেন, নয়তো তাঁর তরফে কোনও প্রতিনিধি যাবেন ওই অনুষ্ঠানে। দিগ্বিজয়ের কথায়, ‘‘যেতে কি বাধা থাকতে পারে? সনিয়া গান্ধী এই বিষয়ে খুবই ইতিবাচক। হয় তিনি যাবেন, নয়তো দল থেকে তাঁর তরফে কোনও প্রতিনিধি যাবেন।’’
দিগ্বিজয় কি আমন্ত্রণ পেয়েছেন? জবাবে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) আমায় আমন্ত্রণ জানাবে না। কারণ, কোনও প্রকৃত ভক্তকে ওরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না। সে মুরলীমনোহর জোশি, লালকৃষ্ণ আডবাণী হোক বা দিগ্বিজয় সিংহ, ওরা আমন্ত্রণ জানাবে না।’’
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সনিয়া এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে সনিয়া, খড়্গের পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, রাহুল গান্ধী, লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন, তবে তিন দশক আগে রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ তথা বিজেপির প্রাক্তন দুই সভাপতি আডবাণী এবং জোশীও আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যাবেন না বলে রামমন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে। ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই জানিয়েছেন, দু’জনেই সঙ্ঘ পরিবারের প্রবীণ নেতা। তাঁদের বয়স বিবেচনা করেই না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, যা দু’জনেই মেনে নিয়েছেন।
রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই নিয়ে চলছে প্রস্তুতি। ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার, পরিচালক রাজকুমার হিরানি, সঞ্জয়লীলা ভন্সালি, রোহিত শেট্টি, প্রযোজক মহাবীর জৈনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দক্ষিণী ছবির তারকা রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবী, ধনুষ, মোহনলাল, ঋষভ শেট্টিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২২ জানুয়ারি মূল আচার পালন করবেন বারাণসীর লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোৎসব। সমস্ত ধর্মের চার হাজার সাধুসন্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হাজার হাজার ভক্তকে খাওয়ানোর জন্য আয়োজন করা হবে ১০০৮টি হুণ্ডি মহাযজ্ঞ। অনুষ্ঠানের সময় ভক্তদের থাকার জন্য বহু তাঁবুর শহরও গড়ে তোলা হয়েছে।