গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শুধু রামজন্মভূমি আন্দোলনে শামিল বিজেপি নয়, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতানেত্রীদেরও। ঘটনাচক্রে, যাঁদের বড় অংশকেই বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের তরফে ‘রামমন্দির আন্দোলনের বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করা হয়।
রামমন্দির নির্মাণকারী ‘শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম সারির বিরোধী নেতাদের রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমন্ত্রিতের তালিকায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী রয়েছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীও আছেন তালিকায়।’’
একদা রামজন্মভূমি আন্দোলনের কট্টর বিরোধী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার তৈরি জনতা দল(সেকুলার) বা জেডিএস সম্প্রতি কর্নাটকে বিজেপির সহযোগী হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনে দেবগৌড়া এবং তাঁর পুত্র কুমারস্বামীও আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে ট্রাস্ট সূত্রের খবর। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ পেলেও কংগ্রেস নেতানেত্রীরা সম্ভবত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।
একই ভাবে, আমন্ত্রণ পেলেও তিন দশক আগে রামমন্দির আন্দোলনের প্রথম সারির ‘মুখ’ তথা বিজেপির প্রাক্তন দুই সভাপতি লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর জোশীও আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা যাবেন না বলে রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি বলেন, ‘‘দু’জনেই সঙ্ঘ পরিবারের প্রবীণ নেতা। তাঁদের বয়স বিবেচনা করেই না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল, যা দু’জনেই মেনে নিয়েছেন।’’ ওই দিন মূল অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।