—ফাইল চিত্র।
ট্রেনে আবার বিপত্তি! করমণ্ডলকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায় দূরপাল্লার ট্রেনে ধোঁয়া দেখা গেল। মঙ্গলবার শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেসের একটি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার ভরওয়াড়ী স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
উত্তর-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশুশেখর উপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘শর্টসার্কিট থেকে ট্রেনের জেনারেল কামরায় ধোঁয়া দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তা নিভিয়ে ফেলা হয়। যাবতীয় সুরক্ষাবিধি খতিয়ে দেখার পরই ট্রেনটি আবার রওনা দিয়েছে। কানপুর স্টেশনে আবার ট্রেনটি খুঁটিয়ে দেখা হবে।’’
মঙ্গলবারই ওড়িশার ব্রহ্মপুরে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেস ট্রেনেও আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ব্রহ্মপুর স্টেশনে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসে ১টি কোচে আগুন দেখতে পান যাত্রীরা। তার পরই শুরু হয় ছোটাছুটি। উত্তর সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘এই ট্রেনটি দক্ষিণ-মধ্য রেলের। সেকেন্দরাবাদ থেকে আগরতলা যাচ্ছিল। ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনের কাছে বি-৫ কামরায় ধোঁয়া দেখা যায়। যাত্রীদের নামিয়ে কোচটি পরীক্ষা করা হয়।’’ পরে ট্রেনটি আবার গন্তব্যে রওনা দিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওড়িশা সরকার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৭৫। সেই ভয়াবহতার মধ্যেই দূরপাল্লার ট্রেনে ধোঁয়া দেখা গেল। করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বন্দে ভারতের মতো গতিশীল ট্রেন চালাতে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের জন্য এক্সপ্রেসগুলির পরিকাঠামোয় নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীদের একাংশ। এই আবহে ট্রেনে আগুন-আতঙ্কের ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা আবার প্রশ্নের মুখে পড়ল।
রবিবার অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় কোল্লাম-চেন্নাই এক্সপ্রেস। ট্রেনের একটি কামরার তলায় (স্যাসিতে) ফাটল ধরা পড়েছিল। বিষয়টি নজরে আসে এক রেলকর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে ওই কামরাটি বদলানো হয়। রবিবার বিকেলে তামিলনাড়ুর সেনগোত্তাই স্টেশনের ঘটনা। ফাটলটি নজরে না এলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা রেলকর্মীদের।