শনাক্তকরণের অপেক্ষায় মর্গে পড়ে দেহ। ছবি: পিটিআই।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর চার দিন কেটে গিয়েছে, এখনও শনাক্ত হয়নি ১০১ জনের দেহ। ওড়িশার বিভিন্ন মর্গে পড়ে রয়েছে সেই দেহগুলি। মৃতদের পরিজনেরা এসে দেহগুলি শনাক্ত করবেন, তারই অপেক্ষায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভুবনেশ্বর পুরনিগমের কমিশনার বিজয় অমৃত কুলাঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত ১৯৩টি দেহ রাখা হয়েছিল ভুবনেশ্বেরর মর্গে। তার মধ্যে ৮০টি শনাক্ত করা গিয়েছে। শনাক্তকরণের পর ৫৫টি দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কুলাঙ্গে আরও জানিয়েছেন, পুরনিগমের হেল্পলাইন নম্বর ১৯২৯-এ প্রতি দিন ২০০টি ফোন আসছে। তাঁর কথায়, “দেহগুলি শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।”
পূর্ব-মধ্য রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজার (ডিআরএম) রিঙ্কেশ রায় জানিয়েছেন, ১১০০ জন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০০ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০০ জন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর কথায়, “দুর্ঘটনায় মৃত ২৭৮ জনের মধ্যে ১০১ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।”
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহনগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও শুরু হয়েছে। দ্রুত রেললাইনের মেরামতির কাজ করে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্তু যাঁরা এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই এখন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আর এই বিষয়টিই এখন ভাবাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।