বাহানগা বাজার স্টেশনে সিবিআইয়ের দল। — নিজস্ব চিত্র।
কী ভাবে ঘটল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা? এটা নিছক দুর্ঘটনা না কি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্তর্ঘাত? তা খতিয়ে দেখতে এ বার ওই কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। ওই দুর্ঘটনায় সরকারের কাছে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করছে রেল বোর্ড। এমনটাই জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ওই দুর্ঘটনার পর এফআইআর দায়ের করেছে জিআরপি। তদন্ত চালাচ্ছে রেল সুরক্ষা কমিশনও।
মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ১০ জনের একটি দল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তাঁরা ওই এলাকাটি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করবেন। সেই সঙ্গে নেওয়া হবে ওই দুর্ঘটনার সময় কর্তব্যরত রেলকর্মীদের বয়ানও। রেলের হিসাব অনুযায়ী ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের (যদিও ওড়িশা সরকারের হিসাব অনুযায়ী দুর্ঘটনায় মৃত ২৭৫ জন)।
ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় ‘অন্তর্ঘাত’ হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খুরদার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) ডিআরএম রিঙ্কেশ রায়। তাঁর মতে, বাইরে থেকে কোনও কিছু না করলে সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি হতেই পারে না। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যালে কেউ বা কারা গোলমাল ঘটিয়েছিলেন বলে মনে করছেন তিনি। এমনটাই জানাচ্ছে ওড়িশা টিভির একটি প্রতিবেদন।
করমণ্ডল দুর্ঘটনা নিয়ে শনিবার রাত ১টা নাগাদ কটক জিআরপি-র অন্তর্গত বালেশ্বর থানায় দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তাতে অবহেলার কারণে মৃত্যু, সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে দেওয়ার মতো অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার ওই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেলের তদন্তকারী দলের প্রধান রেল সুরক্ষা কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) এএম চৌধুরী। সোমবার খড়্গপুরে তিনি জানান, ওই দুর্ঘটনার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। ট্রেনের কর্মী এবং চালক মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে গ্রামবাসীদের কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজি থাকলে তা গ্রহণ করার জন্য রেল প্রস্তুত বলেও জানান চৌধুরী। ওই তদন্ত শেষ হতে সময় লাগবে বলে মত তাঁর।