বিহারের মুজফ্ফরপুরে যুগলকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।
বিহারে আবার যুগলকে নিগ্রহের অভিযোগ। এ বার যুবক এবং তাঁর বান্ধবীকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মুজফ্ফরপুরে। এক দিন আগেই যুবক নিগ্রহের অভিযোগে যে জেলা শিরোনামে উঠে এসেছিল। এক যুবককে মারধর করে সেখানে থুতু চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
মুজফ্ফরপুরের সাকরা গ্রামের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে এক যুবক এবং তরুণীকে। তাঁরা একে অপরের দিকে পিছন ফিরে রয়েছেন। তাঁদের ঘিরে রয়েছেন স্থানীয়েরা। লাঠি দিয়ে তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। যুবক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তরুণীকে ওই ভিডিয়োয় কাঁদতে দেখা গিয়েছে (ভাইরাল ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুলিশি পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। পুলিশ ওই ভাইরাল ভিডিয়োর ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে। বিহার পুলিশের শীর্ষ কর্তা বিদ্যা সাগর বলেন, ‘‘আমরা ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করছি। ভিডিয়োতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তিনি সম্ভবত সাকরার বাসিন্দা। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে এই সংক্রান্ত অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে যুগলকে বাঁধা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গ্রামের অনেকে মেনে নিতে পারেননি। তাই এই নিগ্রহ। যুগলের পাশাপাশি নিগ্রহকারীদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে রবিবার মুজফ্ফরপুরের আরও একটি নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এক যুবককে কলেজ চত্বরেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে থুতু চাটতেও বাধ্য করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ভিডিয়োর ভিত্তিতে যুবকের মা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।