শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
কোন ধারাল অস্ত্র দিয়ে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিলেন আফতাব? সেই অস্ত্রের খোঁজ শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। শনিবার একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর সম্ভবত ওই ধারালো অস্ত্র দিয়েই তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন আফতাব। প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে করছে দিল্লি পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লির ছতরপুর এলাকায় আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই অস্ত্র দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করেন আফতাব। পাশাপাশি গুরুগ্রামে আফতাবের কর্মক্ষেত্র থেকে একটি বড় পলিথিনের ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র তদন্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। শুক্রবার দিল্লির বাড়ি থেকে একটি ইলেকট্রিক করাতও উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করেন আফতাব। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলীতে বাড়ির ফ্রিজে প্রায় তিন মাস ধরে শ্রদ্ধার দেহাংশ রেখেছিলেন আফতাব। তার পর তা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেন তিনি। এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার সব দেহাংশের হদিস পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে আফতাবকে।
তদন্তে নেমে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন আফতাব। তাঁকে নিয়ে সম্প্রতি দিল্লির মেহরৌলীর জঙ্গলে গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। শ্রদ্ধার বাকি দেহাংশ ও দেহ টুকরো করার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধানে রয়েছে পুলিশ।
একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আফতাবের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধার। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের আলাপ প্রেমে গড়ায়। পরিবারের অমতেই আফতাবে সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের পালঘরের তরুণী শ্রদ্ধা। বাবা-মাকে ছেড়ে আফতাবের সঙ্গে সহবাসও শুরু করেছিলেন। কিন্তু যাঁর ভালবাসায় নিজের বাবা-মাকে ছাড়লেন, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল শ্রদ্ধাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ডেটিং অ্যাপে আরও কয়েক জন মহিলার সঙ্গে চ্যাট করতেন আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন আফতাব। সেই মতো ওই মহিলা আফতাবের বাড়িতেও এসেছিলেন। সে সময় শ্রদ্ধার দেহাংশ আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন আফতাব। এই ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন তথ্য উঠে আসছে। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।