Shraddha Walkar Murder Case

শ্রদ্ধার দেহাংশ কি দেহরাদূনে ফেলে এসেছেন আফতাব? কোথায়ই বা গেল রক্তমাখা পোশাক?

দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে গিয়ে শ্রদ্ধা এবং আফতাব যে সব হোটেলে উঠেছিলেন, সেই সব হোটেলের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৩৬
Share:

খুন হওয়ার পর থেকে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহাংশ এখনও মেলেনি। মেলেনি শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু এবং তাঁর খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও। দিল্লির মেহরৌলীর জঙ্গল থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সেগুলি যে শ্রদ্ধারই, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ডিএনএ পরীক্ষার পরই। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ খাড়া হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সামনে।

Advertisement

এর মধ্যেই আরও একটি সম্ভাবনার কথা ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেছে। খুন হওয়ার আগে শ্রদ্ধা এবং আফতাব উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আফতাবের বাড়ি, দিল্লির আশপাশের এলাকা থেকে দেহাংশ না মেলায় এখন দেহরাদূনের প্রসঙ্গটি সামনে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের একটি অংশ মনে করছে, শ্রদ্ধার দেহাংশ তা হলে কি দেহরাদূনেই ফেলে এসেছেন আফতাব? সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীদের একাংশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে আফতাবকে দেহরাদূনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেহরাদূন পুলিশের এসএসপি দলীপ সিংহ কুঁয়ার জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের কাছে থেকে কোনও রকম বার্তা পাননি। যদি বার্তা পান, তা হলে তদন্তে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তাঁরা।

Advertisement

দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ঘুরতে গিয়ে শ্রদ্ধা এবং আফতাব যে সব হোটেলে উঠেছিলেন, সেই সব হোটেলের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতে পারে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, সেই সম্ভাবনাও খোলা রাখছে দিল্লি পুলিশ। তবে পুলিশেরই এক আধিকারিক এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফতাব যদি পুলিশকে সত্যি কথা বলে থাকেন, তা হলে সে ক্ষেত্রে দেহাংশ নয়, রক্তমাখা পোশাক অন্য রাজ্যে গিয়ে ফেলে আসতে পারেন। ওই আধিকারিকের মতে, সাধারণত অপরাধীরা প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ির কাছাকাছি কোনও জায়গাকে বেছে নেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement