হৃষীকেশ ঘুরতে গিয়ে গঙ্গার পারে বসে শ্রদ্ধা। ইনস্টাগ্রামে এই ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
গঙ্গার স্রোত বয়ে চলেছে। তার পারে একটি টিলায় বসে একমনে সেই স্রোতের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেই ইনস্টা পোস্টে লিখেছিলেন, “১৫০০ কিলোমিটার ক্লান্তিকর সফরের পর এক অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে করতে দিনটা শেষ করতে চেয়েছিলাম। সূর্যাস্ত উপভোগ করতে চেয়েছিলাম। বশিষ্ঠ গুহার কাছে গঙ্গার ধার ধরে হাঁটলাম। কে জানত গঙ্গা আমাকে এখানে টেনে নিয়ে আসবে, আর তার পারে বসে সৌন্দর্য উপভোগ করব…”
৪ মে, খুনের ঠিক দু’সপ্তাহ আগে হৃষীকেশ থেকে ইনস্টাগ্রামে এই পোস্ট করেছিলেন শ্রদ্ধা। সঙ্গে একটি রিলও পোস্ট করেছিলেন তিনি। খুনের এক সপ্তাহ আগে, গত ১১ মে আরও একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন শ্রদ্ধা। ‘এক্সপ্লোর মোর’ নামে একটি বই পড়তে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। সেই ছবি পোস্ট করে শ্রদ্ধা লিখেছিলেন, “নিজেকে আরও বেশি করে খুঁজে পেতে চাই।” হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়ে ওই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। আর এটাই ছিল তাঁর শেষ পোস্ট।
পুলিশ জানতে পেরেছে, আফতাব যে পরিমাণ নেটমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন, শ্রদ্ধা ছিলেন তাঁর ঠিক বিপরীত। ইনস্টাগ্রামে আফতাবের ২৮ হাজার অনুগামী রয়েছে। সেখানে নিজের বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ করেছেন আফতাব। অন্য দিকে, শ্রদ্ধা তাঁর ইনস্টা বায়োতে নিজেকে ভ্রমণপিপাসু বলে বর্ণনা করেছিলেন। শ্রদ্ধার নেটমাধ্যম প্রোফাইল ঘেঁটে পুলিশ দেখেছে যে, তিনি বেশির ভাগ সময়ই প্রকৃতির ছবি পোস্ট করেছেন। তার সঙ্গে এক লাইন ক্যাপশন।
গত ১৮ মে খুন হন শ্রদ্ধা। তার পর থেকে শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম পরিচালনা করতেন আফতাব। পুলিশ সূত্রে খবর, কেউ যাতে ঘুণাক্ষরে আঁচ না করতে পারেন শ্রদ্ধা বেঁচে নেই, তাই এক মাস ধরে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নেটমাধ্যমে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিলেন আফতাব। ৯ জুন পর্যন্ত এ ভাবেই শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যান তিনি।