Shraddha Walkar Murder Case

নিয়মিত মারধর, তবু কেন আফতাবকে ছেড়ে বেরোতে পারেননি শ্রদ্ধা? প্রকাশ করলেন আর এক বন্ধু

শ্রদ্ধার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ। তিনি জানান, আফতাবের সঙ্গে থাকতে থাকতে শ্রদ্ধার জীবন ‘নরক’ হয়ে উঠেছিল। তিনি ফ্ল্যাট থেকে কিছুতেই বেরোতে পারতেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪৮
Share:

আফতাবের সঙ্গে থাকতে থাকতে শ্রদ্ধার জীবন নরকের মতো হয়ে উঠেছিল। —ফাইল ছবি

দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে শ্রদ্ধার বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির ফ্ল্যাটে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন শ্রদ্ধা এবং আফতাব। সেখানে তাঁর উপর নিয়মিত শারীরিক অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ করেছেন শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্ল। শ্রদ্ধার আর এক বন্ধু পুলিশকে জানালেন, কেন মারধর করা সত্ত্বেও শ্রদ্ধা আফতাবকে ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

Advertisement

শ্রদ্ধার বন্ধু লক্ষ্মণ নাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দিল্লি পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, আফতাবের সঙ্গে থাকতে থাকতে শ্রদ্ধার জীবন নরকের মতো হয়ে উঠেছিল। তিনি দিল্লির ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতেন, কিন্তু কিছুতেই তা করতে পারতেন না।

কেন ‘নরক’ জীবন থেকে বেরোতে পারতেন না শ্রদ্ধা? লক্ষ্মণ জানান, তিনি আফতাব সম্পর্কে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ছিলেন। এতই ঘনিষ্ঠ ভাবে এই সম্পর্কে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন যে, চাইলেও আর বেরোতে পারছিলেন না। পুলিশকে লক্ষ্মণ এ-ও জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এক বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। লক্ষ্মণের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা।

Advertisement

লক্ষ্মণের সঙ্গে শুধু শ্রদ্ধা নয়, আফতাবেরও বন্ধুত্ব ছিল। তিনি দু’জনেরই বন্ধু ছিলেন। পুলিশকে বলেছেন, ‘‘এক বার শ্রদ্ধা হোয়াটসঅ্যাপে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ও তখন ছতরপুরের বাড়িতেই ছিল। আমাকে বলেছিল, ও যদি সেই রাতে ফ্ল্যাটে থাকে, তবে আফতাব ওকে মেরে ফেলবে।’’

শ্রদ্ধার আর এক বন্ধু রজত পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। প্রথমে ভালই থাকতেন। কিন্তু পরের দিকে আফতাব শ্রদ্ধাকে মারধর করতে শুরু করেছিলেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের কথাও ভেবেছিলেন শ্রদ্ধার বন্ধুরা। কিন্তু আফতাবের প্রতি শ্রদ্ধার আবেগ ও অনুভূতির কথা ভেবে পুলিশকে কিছু জানাতে পারেননি তাঁরা।

লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করার অভিযোগে শনিবার দিল্লি পুলিশ আফতাবকে গ্রেফতার করেছে। খুনের কথা তিনি স্বীকারও করে নিয়েছেন। নিজেই পুলিশকে জানিয়েছেন, শ্রদ্ধাকে খুন করার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছেন তিনি। মোট ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহ। তার পর ফ্রিজে সেই দেহাংশ রেখে দিয়েছিলেন। প্রতি দিন রাতে একটি করে টুকরো নিয়ে গিয়ে তিনি নিকটবর্তী জঙ্গলে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement