শিনা বরা জীবিত বলে আগেও দাবি করেছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
শিনা বরা কি জীবিত? কন্যা শিনাকে হত্যায় মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল। গুয়াহাটি বিমানবন্দরে শিনার মতোই এক তরুণীকে দেখা গিয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গত শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের কাজে আর্জি জানিয়েছেন ইন্দ্রাণী।
গত বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে শিনার মতো দেখতে এক তরুণীকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ২ আইনজীবী। তাঁদের হলফনামা সহকারে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছেন শিনা হত্যাকাণ্ডে বর্তমানে জামিনে মুক্ত ইন্দ্রাণী। এই প্রেক্ষিতে সিবিআই-এর কাছ থেকে জবাব চেয়েছে আদালত।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আইনজীবী সাবিনা বেদী সাচার বলেছেন, ‘‘যখন বিমানে ছিলাম, শিনার মতো এক তরুণীকে দেখেছি। আমার সন্দেহ ঠিক কি না তা যাচাই করতে এক সহকর্মীকে এ কথা বলি। তার পর আমরা ফোনের ক্যামেরায় ভিডিয়ো রেকর্ড করতে থাকি, যাতে ওই তরুণীকে দেখা যায়।’’ এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এর পরই ইন্দ্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান যে, ওই তরুণীকে শিনার মতোই দেখতে। বিমানের ওই যাত্রী সম্পর্কে বিশদে জানতে সিবিআই যাতে তদন্ত চালায় সে জন্য আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিই আমরা।’’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ২৪ বছর বয়সি শিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই খবর প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে। যা ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় দেশে। ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের পুত্র রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কন্যা শিনার লিভ-ইন সম্পর্কের জেরে তাঁকে তাঁর মা ইন্দ্রাণী খুন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রাণী, পিটারকে। গত বছর মে মাসে ইন্দ্রাণীকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শিনা বরা জীবিত বলে অতীতেও দাবি করেছিলেন ইন্দ্রাণী। সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি লিখে অতীতে ইন্দ্রাণী দাবি করেছিলেন যে, তাঁর মেয়ে বেঁচে রয়েছেন। তিনি কাশ্মীরে আছেন। চিঠিতে ইন্দ্রাণী দাবি করেছিলেন, জেলে এক মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সেই মহিলা ইন্দ্রাণীকে জানিয়েছেন কাশ্মীরে শিনার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। ওই মহিলার দাবিকে চিঠিতে উল্লেখ করে শিনার খোঁজে কাশ্মীরে অনুসন্ধান চালানোর জন্য সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। সেই পর্বের পর আবার শিনা বরাকে নিয়ে ইন্দ্রাণী যে আবেদন জানালেন আদালতে, তাতে এই হত্যাকাণ্ড নতুন মোড় নিল।