সম্প্রতি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। প্রতীকী ছবি।
রক্তের সম্পর্ককে ছাপিয়ে গেল মানবতার সম্পর্ক। পক্ষাঘাতে ভুগছিলেন এক বৃদ্ধা। শেষ বয়সে প্রিয়জনরা তাঁকে পরিত্যাগ করেছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করেই উধাও হয়েছিলেন বৃদ্ধার ‘কাছের মানুষ’রা। মৃত্যুর পর সেই বৃদ্ধার শেষকৃত্যের কাজ করলেন এক চিকিৎসক। ওড়িশার ওই চিকিৎসকের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
গত ১ বছর ধরে ওড়িশার ভিআইএমএসএআর বুরলায় চিকিৎসাধীন ছিলেন বেদী সাহু নামে এক বৃদ্ধা। তাঁর চিকিৎসা করছিলেন চিকিৎসক শঙ্কর রামচন্দানি। সম্প্রতি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘ওই বৃদ্ধা শুধু তাঁর এক জন রোগী ছিলেন না, মায়ের মতো ছিলেন। চিকিৎসায় মাঝে সাড়া দিয়েছিলেন বৃদ্ধা।’’
কিন্তু পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার হাত থেকে বৃদ্ধাকে বাঁচাতে পারেননি ওই চিকিৎসক। হাসপাতালে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করে আর যোগাযোগ রাখেনি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাই ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ান চিকিৎসক শঙ্কর। মৃত্যুর পর ছেলের মতো ওই বৃদ্ধার শেষকৃত্যের কাজ সেরেছেন চিকিৎসক।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও মৃত রোগীর শেষকৃত্যের কাজ সেরেছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, ‘‘রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, এটা দেখা খুবই যন্ত্রণার। সকলের কাছে একটাই আর্জি, প্রবীণদের পরিত্যাগ করবেন না। ওঁরা ভালবাসা, যত্ন চান।’’