কোন কোন অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে আর ওষুধ খেতে হবে না? ফাইল চিত্র।
পুষ্টিবিদদের মতে, যাঁরা হজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা সকালে ভারী জলখাবার করুন। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার পরিমাণ কমান। রাতের খাবার ৮টার আগেই সেরে ফেলুন। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না।
হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। বাঙালি যেমন ভোজনরসিক, তেমনই পেটের রোগেও ভোগে। কখনও একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা তেল-মশলার পরিমাণ সামান্য এ দিক-ও দিক হলেই হজমের সমস্যায় পড়েন অনেকেই। তাই মুঠো মুঠো মুখশুদ্ধি, নয়তো অম্বলের ওষুধই ভরসা!
চিকিৎসকদের মতে, খুব বেশি ওষুধ নির্ভর হয়ে পড়লে একটা সময়ে ওষুধ ছাড়া হজম করাই মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ছাড়াও ঘন ঘন অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ আরও নানাবিধ শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই জীবনযাপনে সংযম আনতেই হবে। সকাল সকাল কোন অভ্যাস রপ্ত করলে সারা দিন শরীর তরতাজা থাকবে, হজমও ভাল হবে জেনে নিন।
১) খাবার ভাল করে চিবিয়ে খান? তাড়াহুড়োয় কোনও ক্রমে খেয়ে ফেলে কাজে দৌড়নোর স্বভাব অনেকেরই আছে। খাবার ভাল করে চিবোলে তাতে নানা উৎসেচক যোগ হয়ে তাকে সহজপাচ্য করে তোলে। তাই সময় হাতে নিয়ে খেতে বসুন।
২) দিন শুরু করুন উষ্ণ জল দিয়ে। অথবা মৌরি-মেথি ভেজানো জল বা ডিটক্স পানীয় খেলেও হজম ভাল হবে।
৩) ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। প্রাতরাশে ওট্স, ডালিয়া, কর্নফ্লেক্স, ফ্রুট স্যালাড রাখলে ভাল।
৪) সকালে শরীরচর্চার অভ্যাস থাকা ভাল। ভোরে উঠে হাঁটতে পারলে ভাল হয়। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, জগিং বা বাড়িতেই স্পট জগিং করতে পারেন। প্রশিক্ষকের থেকে শিখে নিয়ে যোগাসন অভ্যাস করাও ভাল। এতে শরীর চনমনে থাকবে।
৫) পুষ্টিবিদদের মতে, যাঁরা হজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা সকালে ভারী জলখাবার করুন। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার পরিমাণ কমান। রাতের খাবার ৮টার আগেই সেরে ফেলুন। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না।