বেঙ্গালুরুর রাস্তায় ভারী বৃষ্টিতে কোমরসমান জল জমে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই।
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কিছু দিন আগেও হাঁসফাঁস করছিল গোটা দেশ। টানা তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে ছবিটা একেবারে বদলে গিয়েছে। দেশ জুড়ে বর্ষার বৃষ্টিতে ম্লান হয়েছে তাপের দাপট। গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে বিভিন্ন রাজ্যে।
মৌসম ভবন আগামী কয়েক দিন একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে। বৃষ্টি চলবে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মধ্যপ্রদেশের এবং মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকায়। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। অমরনাথ যাত্রাতেও বিঘ্ন ঘটেছে। দেহরাদূনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মোট আটটি জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে এ ভাবেই বৃষ্টি চলবে। এই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অমরনাথ যাত্রার পথে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ধস নামলেও প্রাণহানি এড়াতে তৎপর প্রশাসন।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। সেখানে ১ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টি চলতে পারে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত জলমগ্ন। নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। রাস্তা এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসলও। বৃষ্টির কারণে হিমাচলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলিতে।
ভারী বৃষ্টির সাক্ষী গোয়াও। মঙ্গলবার রাতে টানা বৃষ্টিতে রাজধানী পানাজির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহ থেকেই গোয়ায় বৃষ্টি চলছে। ফলে জলযন্ত্রণায় কাবু সাধারণ মানুষ।
বর্ষায় মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিও যথেষ্ট প্রতিকূল। ভান্ডারা জেলায় গত দু’দিন ধরে অবিরাম অতি ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। পালঘর, রায়গড়-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। মুম্বইতে রয়েছে হলুদ সতর্কতা। বিভিন্ন রাজ্যে নদীর ধারে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সতর্ক করেছে প্রশাসন।