(বাঁ দিক থেকে) অগ্নিমিত্রা পাল, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
বুধবার উল্টোরথ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শেষে সভা, মিছিল চলতে থাকলেও বুধবার থেকেই পুরোদমে প্রচারে নামছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির ঠিক করেছে বুধবার থেকে ২২ জেলায় ২২টি সভা করা হবে। তবে কবে কোথায় সভা হবে তা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলে মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই কোন জেলায় কোন নেতা কবে যাবেন তা ঠিক হয়ে যাবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি শুধু রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখকে সামনে রেখে লড়াই করবে না বলেও ঠিক হয়েছে। যা পরিকল্পনা তাতে এখন সর্বভারতীয় দায়িত্ব পাওয়া বাংলার দুই নেতা দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিংহকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রচারে কাজে লাগানো হবে।
৮ জুলাই ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে ৬ জুলাই। তাই ২২ জেলাতেই আগামী ন’দিনের মধ্যে বিজেপি বড় মাপের সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে এক দিনে একাধিক জেলায় হবে সভা।
বিজেপি যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে মঙ্গলবারেই। সুকান্ত মঙ্গলবার দলের ইস্তাহার প্রকাশ করলেও তাঁর পাশেই ছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ এবং রাহুল ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন আর এক রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি কোনও জেলায় জেলাপরিষদ দখল করতে পারলে কী কী কাজে গুরুত্ব দেবে তার তালিকা প্রকাশ করে মঙ্গলবার সুকান্ত বলেন, ‘‘ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি দূর করাই হবে আমাদের মূল কাজ। সেই সঙ্গে আমরা জেলাস্তরে আয়ভিত্তিক সরকারি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করব। গ্রামের কে কী সুবিধা পাবেন সেটা দল নয়, ঠিক করবে গ্রাম সংসদ।’’ একই সঙ্গে জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হবে বিজেপিশাসিত জেলাপরিষদ। তবে শুভেন্দু মঙ্গলবারেও মূলত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন।