—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বছরের লোকসভা ভোটে লড়াই করা প্রার্থীদের মধ্যে ৮৬ শতাংশেরই জামানত জব্দ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ১২ হাজার ৪৫৯ জনের মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে চার হাজারেও বেশি মনোনয়ন বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কমিশনের হিসাব অনুসারে, তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ১৯০ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে।
এই সাত হাজারেরও বেশি জামানত জব্দ হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে নির্দল প্রার্থী রয়েছেন তিন হাজারের কিছু বেশি। বাকিরা কোনও না কোনও দলের থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন। কমিশনের তথ্য বলছে, অন্তত ছ’টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের ৫৮৪ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। একই সঙ্গে জামানত জব্দের তালিকায় বিভিন্ন আ়ঞ্চলিক দলের প্রার্থী রয়েছেন ৬৮ জন। বাকি আড়াই হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের দলগুলি নিবন্ধীকৃত কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসাবে স্বীকৃত নয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও প্রায় একই হারে জামানত জব্দ হয়েছিল প্রার্থীদের। সেই বছরে ৮,০৫৪ জন প্রার্থী লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৯২৩ জনের জামানত জব্দ হয়েছিল। সেটিও প্রায় ৮৬ শতাংশ।
এ বারের লোকসভা ভোটে মোট ৩ হাজার ৯২১ জন নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফুটেছে মাত্র সাত জনের মুখেই। বাকিরা সকলেই পরাজিত হয়েছেন এবং সিংহভাগেরই জামানত জব্দ হয়েছে।
কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয়। এক একটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জামানতের অর্থের রাশি এক এক ধরনের হয়। যেমন লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে জমা রাখতে হয়ে কমিশনের কাছে। তফসিলি জাতি বা জনজাতির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই জামানতের অর্থ অর্ধেক হয়। কোনও প্রার্থীকে জামানত জব্দ হওয়া ঠেকাতে হলে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোটের ছ’ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। কিন্তু এ বারের লোকসভা ভোটে ৭ হাজারের বেশি প্রার্থী তা পাননি। ফলে ওই টাকাও ফেরত পাননি তাঁরা।