সোমবার রাত থেকে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা বাড়ি। সেই ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে এবং ঝলসে মৃত্যু হল ছ’জনের। সকলেই একই পরিবারের সদস্য। আরও আট জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচটি শিশুও আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিকান্দরাবাদের আশাপুরী কলোনিতে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের বাড়িঘর। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, শব্দের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও আওয়াজ পাওয়া যায়।
শব্দ শুনে সকলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আগুন জ্বলছে। প্রাথমিক ভাবে এলাকাবাসীই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশকে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। বেশ অনেক ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা উদ্ধারকার্য শুরু করেন। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সেখানে প্রাণের সন্ধান করতে থাকেন তাঁরা। ছ’জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর।
ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যম থেকে মিলেছে। সেই সব ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জেসিবি এনে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে (যদিও এই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করনি আনন্দবাজার অনলাইন)। মঙ্গলবারও উদ্ধারকাজ চলছে। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার সময় ওই বাড়িতে ১৮-১৯ জন ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আট জন হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’ দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন যোগী। কী ভাবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটল, তার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।