মঙ্গলবার সকালে ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
শীত যত এগিয়ে আসছে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) বা একিউআই ততই খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি যে আগামী দিনে আরও খারাপ হতে পারে, সেই আশঙ্কাই গ্রাস করছে রাজধানীবাসীকে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে আগামী দু’দিন, অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাতাসের গুণগত মানের কোনও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে রাজধানীতে বর্জ্য পোড়ানো এবং দুই প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাব, হরিয়ানার শস্যের গোড়ার পোড়ানোর ঘটনা।
মঙ্গলবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৩১৭। রাজধানীর আকাশ ধোঁয়াশায় ঢাকা। আনন্দবিহার, কালকাজি, নেহরু প্লেস, অক্ষরধাম মন্দিরের মতো এলাকাগুলিতে বাতাসের গুণগত মান দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (সফর)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মান ০-৫০ থাকলে ভাল। সন্তোষজনক (৫১-১০০), খারাপ (২০১-৩০০), খুব খারাপ (৩০১-৪০০) এবং খুব খুব খারাপ (৪০১-৫০০)।
গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নামতে থাকায় দূষণ রোধে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)-২ বলবৎ করেছে দিল্লি সরকার। দূষণরোধী এই পরিকল্পনায় ১১টি পদক্ষেপ করা হয়েছে দিল্লি এবং অনসিআরে। তার মধ্যে রয়েছে, রাস্তাগুলিতে যান্ত্রিক উপায়ে পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত জল ছেটানো। নির্মাণকাজ হচ্ছে এমন এলাকাগুলি থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায় তা নজরদারি চালানো, জরুরি পরিষেবা ছাড়া ডিজেলচালিত জেনারেটরে নিষেধাজ্ঞা, হোটেল, রেস্তরাঁ এবং খোলা খাবারের দোকানগুলিতে কাঠকয়লার ব্যবহার বন্ধ করা।
এ ছাড়াও গাড়ির দূষণ কম করতে ‘রেড লাইট অন-গাড়ি অফ’ প্রচারও চালাচ্ছে সরকার। সমস্ত গাড়িচালককে অনুরোধ করা হয়েছে সিগন্যাল লাল থাকলে তাঁরা যেন গাড়ি বন্ধ রাখেন।