মৃত ওই রুশ নাগরিক জাহাজের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ছবি সংগৃহীত।
ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরে জাহাজ থেকে রুশ ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। মৃত রুশ নাগরিকের কপালের বাঁ দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি বাঁ চোখ ও ভ্রুতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
গত মঙ্গলবার পারাদ্বীপ বন্দরে নোঙর করা একটি জাহাজে মিলিয়াকভ সের্গেই নামে ৫১ বছরের এক রুশ ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জাহাজের মুখ্য ইঞ্জিনিায়র ছিলেন ওই রুশ নাগরিক। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর এই ঘটনায় নতুন করে রহস্য তৈরি হয়েছে।
হৃদ্রোগে আক্রান্তের পর জাহাজে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন ওই রুশ নাগরিক, নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিসেরা রিপোর্ট এলে এই ঘটনার তদন্তে আরও দিশা দেখা যেতে পারে।
পারাদ্বীপ বন্দরের চেয়ারম্যান পিএল হরনাধ জানিয়েছেন, এই ঘটনা সম্পর্কে এখনই কিছু বলার নেই। তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে এই ঘটনায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত চালাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ওড়িশার ডিজিপি সুনীল বনশল।
প্রসঙ্গত, ১৫ দিনের মধ্যে ওড়িশায় ৩ রুশ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ঘনিয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর ওড়িশার রায়গড়ায় একটি হোটেলে ভ্লাদিমির বিদেনভ নামে এক রুশ নাগরিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার ২ দিন পর ওই হোটেলে থাকা আরও এক রুশ নাগরিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম পাভেল অ্যান্টভ। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী ও রাশিয়ার আইনসভার সদস্য। একই হোটেলে মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে দুই রুশ নাগরিকের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এখনও অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি বলে দাবি করেছে ওড়িশা পুলিশ। এই জোড়া মৃত্যুর তদন্তের মধ্যেই পারাদ্বীপে রুশ ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধারে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।