আরটিজিএস এবং এনইএফটি-র ক্ষেত্রে যাচাই হবে গ্রাহকের নাম। — প্রতীকী চিত্র।
আরটিজিএস এবং এনইএফটি-র মাধ্যমে কাউকে টাকা পাঠানোর আগে, ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্কে নথিবদ্ধ নাম দেখতে পাবেন প্রেরক। শীঘ্রই এই নিয়ম চালু হয়ে যাচ্ছে দেশের সব ব্যাঙ্কে। এখন গুগ্ল পে বা ফোন পে-র মতো ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই সুবিধা পাওয়া যায়। অচেনা কোনও নম্বরে বা ইউপিআই আইডিতে টাকা পাঠানোর আগে, কাকে টাকা পাঠানো হচ্ছে সে বিষয়ে প্রেরককে তথ্য দেখিয়ে দেয় ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে গ্রাহকের ব্যাঙ্কে নথিবদ্ধ হওয়া নাম। এ বার থেকে আরটিজিএস এবং এনইএফটি করে কাউকে টাকা পাঠানোর আগেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সব ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সব ব্যাঙ্ককে এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আরটিজিএস এবং এনইএফটি-র মাধ্যমে যাঁকে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তাঁর নাম যাচাইকরণের প্রক্রিয়া (নেম ভেরিফিকেশন সিস্টেম) থাকতে হবে ব্যাঙ্কগুলিতে। অনলাইন ব্যাঙ্কিং, মোবাইল অ্যাপের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবেন প্রেরকেরা। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে যদি কেউ আরটিজিএস বা এনইএফটি করতে চান, তা-ও এই সুবিধা দেওয়া হবে তাঁদের। মনে করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেনের ব্যবস্থাকে আরও সুরক্ষিত করার জন্যই এই নির্দেশ দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
সোমবার সন্ধ্যায় জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিআই পরিষেবার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছে আরবিআই। ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই পরিষেবার কারণে প্রেরকেরা যে সুবিধা পান, তা উল্লেখ করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আরটিজিএস এবং এনইএফটি-র ক্ষেত্রে এই সুবিধা চালু হলে প্রেরকেরা এ ক্ষেত্রেও গ্রাহকের নাম আগে থেকে জানতে পারবেন বলে জানিয়েছে আরবিআই।
বস্তুত, আরটিজিএস এবং এনইএফটির ক্ষেত্রে এই সুবিধা যুক্ত করার ভাবনাচিন্তা গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল আরবিআইয়ে। এ বছরের অক্টোবরে আরবিআই প্রথম এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেয়। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, এই ব্যবস্থার ফলে আর্থিক লেনদেনের সময়ে ক্রটি এড়ানো যাবে।