ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তান চাইলে জঙ্গিদমনে সাহায্য করতে পারে ভারতীয় সেনা। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ করে তা নিয়ে ইমরানকে তীব্র আক্রমণও করেন রাজনাথ।
জঙ্গিদমনে পাকিস্তানের সদিচ্ছা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রবিবার হরিয়ানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কারনালে গিয়ে ফের একই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্ত্রণে বা তাদের দমনে একেবারেই সক্রিয় নয় পাকিস্তান। বরং সে দেশের মাটিতে অবাধ বিচরণ করে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা। পাকিস্তান সরকার জঙ্গিদমনে উৎসাহী হলে ভারত সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একটা পরামর্শ দিতে চাই। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনার যদি সদিচ্ছা থাকে, তবে আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমরা। যদি আমাদের সেনাবাহিনীর সাহায্য চান, তবে আপনার সহায়তার জন্য তা সেখানে (পাকিস্তানে) পাঠাব।’’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গিহানার পর থেকেই ভারত-পাক সম্পর্কের অবনতি হয়। পুলওয়ামা হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এর পর গত অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর থেকে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও অবনতি হয়।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে ফিরিয়ে আনুন ৩৭০, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মোদীর
আরও পড়ুন: প্লগিং-এর সময় হাতে ওটা কী? টুইট করে নিজেই জানালেন মোদী
কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনেও নিজের ভাষণে এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান। ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত পরমাণু যুদ্ধেরও হুমকি দেন তিনি। তবে ইমরানের কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজনাথ সিংহ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি ইমরানের ভাষণ শুনছিলাম, যেখানে তিনি বলেছেন, কাশ্মীর স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই ইস্যুতে সরব হবে তাঁর দেশ। কাশ্মীরের কথা ভুলে যান। এ নিয়ে ভাববেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। কোনও কাজ হবে না। কেউ আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।’’