রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কুকুরকে খেতে দেওয়া বিস্কুট কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দলীয় কর্মীকে খেতে দিয়েছেন, ভিডিয়ো পোস্ট করে এমন দাবি করেছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। ‘বিতর্কিত’ এই ভিডিয়ো নিয়ে এ বার মুখ খুললেন খোদ রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘কুকুরটি বিস্কুট খেতে না চাওয়ায়, তার মালিকের হাতে দিয়েছিলাম। তার পর কুকুরটি মালিকের হাত থেকে বিস্কুট খায়।’’ সেই সঙ্গে বিজেপিকেও কটাক্ষ করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ।
সোমবার গভীর রাতে অমিত মালবীয় রাহুলের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়ো-তেই কুকুরকে রাহুলের বিস্কুট খেতে দেওয়া, তার খেতে না চাওয়া এবং শেষে বিস্কুটটি এক জনের হাতে তুলে দেওয়া— পুরো বিষয়টি তুলে ধরা আছে। যা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসরে নেমেছে বিজেপি। এমনকি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও ভিডিয়ো নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তার পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল। তিনি স্পষ্ট করেন, ‘‘আমি কুকুর এবং তার মালিককে নিজেই ডেকেছিলাম। কিন্তু কুকুরটি ঘাবড়ে গিয়েছিল, রীতিমতো কাঁপছিল। যখন আমি তাকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম, তখন কুকুরটি আরও ভয় পেয়ে গেল। তাই আমি কুকুরের মালিককে সেই বিস্কুট দিয়েছিলাম এবং কুকুরটি তাঁর হাত থেকেই খেয়েছিল। আমি বুঝতে পারছি না এতে সমস্যাটা কোথায়?”
যে লোকটির হাতে রাহুল বিস্কুট দিয়েছিলেন, তাঁকে কংগ্রেস কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। এমনকি ঘটনাটি রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র সময়কার বলেও দাবি তোলে পদ্ম শিবির। এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, ‘‘না, কোথায় তিনি কংগ্রেস কর্মী ছিলেন?... কুকুরকে নিয়ে বিজেপির এত আপত্তি কেন, সেটাই বুঝতে পারছি না। কুকুর বিজেপির কী ক্ষতি করেছে?’’
বিতর্কের সূত্রপাত অমিত মালবীয়র পোস্ট করা ভিডিয়োর পর থেকেই। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি লাল রঙের হুডখোলা গাড়িতে চড়ে যাচ্ছেন রাহুল। সঙ্গে আছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে ছিল একটি লোমশ কুকুরও। তার সামনে রাখা বিস্কুট ভর্তি প্লেট। কংগ্রেস সাংসদ সেই কুকুরকে প্যাকেট থেকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু কুকুরটি তা খেতে চাইছে না। মাথা নেড়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখন সেই বিস্কুটই গাড়িতে থাকা অন্য এক জনের হাতে দেন রাহুল!
অমিত মালবীয়র এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করা ভিডিয়োতে একটি ক্যাপশনও ছিল। সেখানে রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে টেনে এনেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকেও। তিনি লেখেন, ‘‘কোনও দলের সভাপতি এবং ‘যুবরাজ’ যদি তাঁর দলের কর্মীদের কুকুর ভেবে সেই রকম আচরণ করেন, তবে সেই দলের বিলুপ্ত হওয়াই স্বাভাবিক।’’ এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। হিমন্ত বলেন, ‘‘শুধু রাহুল গান্ধী নন, পরিবারের কেউই আমাকে সেই বিস্কুট খাওয়াতে পারেনি। আমি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলাম।’’