প্রতীকী চিত্র।
পথকুকুরকে বাঁচাতে দিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা রাস্তার ধারের ব্যারিকেডে সজোরে ধাক্কা মারেন এক ব্যক্তি। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁর স্ত্রী। গোটা ঘটনায় নিজেকেই দোষী মনে করেন তিনি, তাই থানায় নিজের নামেই এফআইআর করেন গুজরাতের বাসিন্দা পরেশ দোশি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৫৫ বছর বয়সি পরেশ পেশায় এক জন শিক্ষক। থাকেন গুজরাতের নর্মদা জেলায়। রবিবার বিকেলে স্ত্রী অমিতাকে নিয়ে গাড়ি করে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথেই ঘটে বিপদ। সবরকাঁথা এলাকায় পৌঁছতেই গাড়ির সামনে চলে আসে একটি পথকুকুর। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গাড়ির স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে বসেন পরেশ। তার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারেন রাস্তার পাশের ব্যারিকেডে।
এই দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি পরেশ। থানায় গিয়ে নিজের নামেই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগপত্রে লেখেন, ‘‘আমি স্ত্রীকে নিয়ে রবিবার ভোরে বেরিয়েছিলাম অম্বাজি মন্দিরে যাওয়ার জন্য। দুপুরে সেখানে পৌঁছই। কিন্তু মন্দির বন্ধ থাকায় পুজো না দিয়েই ফিরতে হয়েছিল। বিকেলের দিকে সুকা অম্বা গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনে একটা কুকুর চলে আসে। তাকে পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি।’’
গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় লক্ থাকার জন্য গাড়ির মধ্যেই আটকে পড়েন ওই দম্পতি, এমনই জানিয়েছে পুলিশ। তার পর তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই প্রাণ হারান অমিতা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই শোকে ভেঙে পড়েন পরেশ। থানায় নিজের নামে ‘বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর’ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।