প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমে অশ্লীল ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি পেয়ে আত্মঘাতী হলেন পুণের এক আইটিআই ছাত্র। প্রথমে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর তদন্ত শুরু করলেও এই অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই যুবকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন চালানো এক অজ্ঞাতপরিচয়ের দিকে এই অভিযোগ করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ সেপ্টেম্বর পুণের ধনকাওয়াড়ির তানাজি নগর এলাকায় ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। তবে প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কেস করা হলেও তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা দাবি করেন, ২২ বছরের ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। যুবকের মোবাইল খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথাবার্তাও চালাতেন দু’জনে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সহকারনগর থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই হোয়াটসঅ্যাপের ডিসপ্লে প্রোফাইলে এক তরুণীর ছবি রয়েছে। যদিও তাঁর নাম-পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। সহকারনগর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘৩০ সেপ্টেম্বর আত্মঘাতী হওয়ার দিনও অভিযুক্তের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা চ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপ কল করছিলেন যুবক। এমনকি, তাঁদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিয়ো কলে কথাবার্তা হয়েছিল। সে সময়ই যুবকের বেশে কিছু অশ্লীল ভিডিয়ো তোলেন অভিযুক্ত। এর পর ওই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব-সহ নানা সমাজমাধ্যমে ওই যুবকের সেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। ভয় পেয়ে অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে ৪,৫০০ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই যুবক। তবে আরও টাকার দাবি করতে থাকেন অভিযুক্ত।’’
ওই আধিকারিকের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে আত্মঘাতী হওয়ার কথা লিখেছিলেন যুবকটি। তা সত্ত্বেও তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন অভিযুক্ত। পরে তা-ই করেন যুবক।
এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া) এবং ৩৮৪ ধারা ‘তোলাবাজি’-সহ সাইবার অপরাধের ধারাও যুক্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ওই মোবাইল নম্বর এবং যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল, সেগুলির সূত্রে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।